Tarabi Namaz Dua | Tarabi Namaz Niyat | তারাবি নামাজ

 

Tarabi Namaz Dua

রমজান মাসে তারাবি নামাজের সময় Tarabi Namaz Dua পাঠ করা হয়। এটি আধ্যাত্মিক শান্তি এবং পুরষ্কার নিয়ে আসে। শুরু করার আগে, সঠিক Tarabi namaz niyat করা ভক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই রাতের নামাজ ঈমানকে শক্তিশালী করে এবং মুমিনদের আল্লাহর সাথে সংযুক্ত করে। তারাবি নামাজের দুআ পাঠ করলে বরকত ও ক্ষমা লাভ হয়। আন্তরিকতার সাথে Tarabi namaz আদায় করলে রমজানের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পায়। সঠিক তারাবি নামাজের নিয়ত বোঝা একটি অর্থপূর্ণ এবং পরিপূর্ণ প্রার্থনা নিশ্চিত করে।

سُبْحَانَ ذِی الْمُلْکِ وَالْمَلَکُوْتِ ط سُبْحَانَ ذِی الْعِزَّةِ وَالْعَظَمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْکِبْرِيَآئِ وَالْجَبَرُوْتِ ط سُبْحَانَ الْمَلِکِ الْحَيِ الَّذِی لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ سُبُّوحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنَا وَرَبُّ الْمَلَائِکَةِ وَالرُّوْحِ ط اَللّٰهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْر

গোপন ও প্রকাশ্য রাজত্বের অধিকারী পবিত্র। পরাক্রম, মহত্ত্ব, শ্রদ্ধা, ক্ষমতা, গর্ব এবং মহিমার অধিকারী পবিত্র। পবিত্র, জীবিত, যিনি ঘুমান না এবং মৃত্যুবরণ করেন না, তিনিই পবিত্র। সর্ব-পরিপূর্ণ, পবিত্র, আমাদের প্রভু, এবং ফেরেশতাগণ ও আত্মার প্রভু। হে আল্লাহ, আমাদের জাহান্নাম থেকে আশ্রয় দিন। হে আশ্রয়দাতা, হে আশ্রয়দাতা, হে আশ্রয়দাতা।

 

তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম, কত রাকাত, নিয়ত ও দোয়া সমূহ.

এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়। আর এ নামজকেই ‘তারাবির নামাজ’ বলা হয়।

তারাবি নামাজের নিয়ত:

আরবি এবং বাংলা উভয়ভাবে নিয়ত করা যাবে। আরবি নিয়ত হচ্ছে,

نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ للهِ تَعَالَى رَكْعَتَى صَلَوةِ التَّرَاوِيْحِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ

 নাওয়াাইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা, রকাআতাই সালাতিত তারাবিহ, সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তাআলা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।

বাংলায় নিয়ত হচ্ছে, আমি কেবলামুখি হয়ে দুই রাকাআত তারাবির সুন্নতে মুয়াাক্কাদাহ নামাজের নিয়ত করছি। আল্লাহু আকবার। (জামাআত হলে যোগ করতে হবে এ ইমামের পেছনে পড়ছি)।

 

 

তারাবি নামাজের নিয়ত আরবিতে করা আবশ্যক বা বাধ্যতামূলক নয়। বাংলাতেও এভাবে নিয়ত করা যাবে যে, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তারাবি -এর দুই রাকাত নামাজ কেবলামুখী হয়ে পড়ছি।

তারাবির নামাজ কিভাবে পড়বেন:

দুই রাকাত নামাজ আদায় করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা। আবার দুই রাকাত নামাজ পড়া। এভাবে ৪ রাকাত আদায় করার পর একটু বিশ্রাম নেয়া। 

বিশ্রামের সময় তাসবিহ তাহলিল পড়া, দোয়া-দরূদ ও জিকির আজকার করা। তারপর আবার দুই দুই রাকাত করে আলাদা আলাদা নিয়তে তারাবি আদায় করা।

তারাবি নামাজের দোয়া

তারাবি নামাজে প্রতি চার রাকাত পর বিশ্রাম নেওয়া হয়। এ সময় একটি দোয়া পড়ার প্রচলন রয়েছে আমাদের দেশে। প্রায় সব মসজিদের মুসল্লিরা এই দোয়াটি পড়ে থাকেন। দোয়াটি হলো-

 

 

سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ

উচ্চারণ : ‘সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’

তবে মনে রাখতে হবে, তারাবি নামাজ বিশুদ্ধ হওয়া বা না হওয়ার সঙ্গে এই দোয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। এই দোয়া না পড়লে তারাবি নামাজ হবে না, কোনোভাবেই এমন মনে করা যাবে না। মূলত এ দোয়ার সঙ্গে তারাবি নামাজ হওয়া কিংবা না হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।

এ সময় কুরআন-হাদিসে বর্ণিত যেকোনো দোয়াই পড়া যাবে। আলেমদের মতে, তারাবি নামাজে চার রাকাত পর বিশ্রামের সময়টিতে কুরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়া, তওবা,-ইসতেগফারগুলো পড়াই উত্তম।

একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, কোনো কারণবশত যদি একদিন তারাবির নামাজ পড়তে না পারেন তাহলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। নামাজ না পড়ার শাস্তির ভোগ করতে হবে। সমাজের অনেকেই মনে করেন তারাবির নামাজ আদায় না করলে রোজা হবে না, অথচ এমন কোন কথা কুরআন-হাদিসে নেই। এটা সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা।

 

 

 267  0  0  2

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top