শব অর্থ হলো রাত এবং লাইলাতুল শব্দের অর্থ হলো রাত বা রজনী। কদর অর্থ সম্মানিত। সুতরাং লাইলাতুল কদরের অর্থ হলো সম্মানিত রজনী। কুরআনুল কারীমে মহান আল্লাহ তায়ালা, এই রাতকে অনেক সম্মানিত একটি রাত হিসেবে পরিগণিত করেছেন। প্রতিবছর রমজান মাসে এই মহিমান্বিত রজনী বা সম্মানিত রজনী লাইলাতুল কদর ,মুসলিমের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে।
কোন রাত্রিকে শবে কদরের রাত্রি বলা হয়?
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত। নবী করীম সাঃ এর কতিপয় সাহাবীকে স্বপ্নযোগে রমজানের শেষ সাত রাতে শবে কদর দেখানো হয়েছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন আমি দেখতে পাচ্ছি, তোমাদের স্বপ্ন শেষ সাত রাতে সামঞ্জস্যশীল হয়ে গেছে। তাই যে ব্যক্তি তা খোঁজ করতে চায় সে যেন শেষ সাত রাতেই তা তালাশ করে।(বুখারী ১৮৭৭)
mattis, pulvinar dapibus leo.
নফল নামায
কদরের রাতে বেশি বেশি নফল সালাত আদায় করা. বিশেষ করে বিজোড় রাত্রিতে। কমপক্ষে ১২ রাকাত থেকে যত সম্ভব পড়া যায় ততই উত্তম। অনেকে মনে করেন কদরের নামাযের জন্য বিশেষ নিয়ম বা দোয়া রয়েছে। আসলে বিশেষ কোন নিয়ম নেই। ইশার নামাযের পর থেকে নিয়ে ফযর পর্যন্ত যে নফল নামায পড়া হয়, তাকে বলা হয় কিয়ামুল-লাইল বা তাহাজ্জুদ। অতএব কদরের রাতে ইশার পর থেকে ফযর পর্যন্ত যত নামায পড়া হবে সে গুলোকে নফলও বলা যাবে অথবা তাহাজ্জুদও বলা যাবে। লাইলাতুল কদর উপলক্ষে নামাযের জন্য বিশেষ কোন নিয়্যাত নেই। এ জন্য সাধারণ সুন্নতের নিয়মে দুই রাকাত নফল পড়ছি। এ নিয়তে নামাজ শুরু করে শেষ করতে হবে। এ জন্য সূরা ফাতেহার সাথে আপনার জানা যেকোনো সূরা মিলাইলেই চলবে। এ ছাড়া সালাতুল তওবা, সালাতুল হাজত, সালাতুল তাসবিহ নামাযও আপনি পড়তে পারেন। নফল সালাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সালাত হল তাহাজ্জুদের সালাত। আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব রাতের শেষভাগে তাহাজ্জুদের সালাত পড়ার।
দোয়া ও যিকির
ইবাদাতের মধ্যে যিকির খুবই ফজিলতপূর্ণ। যিকিরের মাধ্যমে বান্দা এবং আল্লাহর মধ্যে গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। আল্লাহপাক বলেনঃ
nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus,
- উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি”
- অর্থ: “হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করাকে ভালোবাসো, অতএব আমাকে ক্ষমা করো।”