রোজা না রাখার শাস্তি | roja na rakh kar shasti

 

রোজা ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের একটি। রোজা রাখলে যেমন বিপুল সওয়াবের ভাগীদার হওয়া যায় ঠিক তেমনি রোজা না রাখলে এর শাস্তিও খুব কঠিন। বিনা ওজরে রোজা ছেড়ে দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।

হাদিস শরিফে এসেছে,

بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ إِذْ أُتِيتُ فَانْطُلِقَ بِي إِلَى جَبَلٍ وَعْرٍ، فَقِيلَ اصْعَدْ، فَقُلْتُ: إِنِّي لَسْتُ أَسْتَطِيعُ الصَّعُودَ، قَالَ: أَنَا سَأُسَهِّلُهُ لَكَ. قَالَ: فَصَعِدْتُ حَتَّى إِذَا كُنْتُ فِي سَوَاءِ الْجَبَلِ، إِذْ أَنَا بِأَصْوَاتٍ، فَقُلْتُ: مَا هَذِهِ الْأَصْوَاتُ؟ قِيلَ: هَذِهِ أَصْوَاتُ جَهَنَّمَ… ثُمَّ انْطَلَقَ بِي حَتَّى مَرَرْتُ عَلَى قَوْمٍ مُعَلَّقِينَ بِعَرَاقِيبِهِمْ مُشَقَّقَةٌ أَشْدَاقُهُمْ تَسِيلُ أَشْدَاقُهُمْ دَمًا، فَقُلْتُ: مَنْ هَؤُلَاءِ؟ قَالَ: هَؤُلَاءِ الَّذِينَ يُفْطِرُونَ قَبْلَ حِينِ فِطْرِهِمْ

‘একদা আমি ঘুমিয়ে ছিলাম, সহসা একজন লোক এসে আমাকে ধরে এক দুর্গম পাহাড়ে নিয়ে গেল।আমাকে বলা হল, আরোহণ কর। আমি বললাম, আমি আরোহণ করতে পারি না। সে‎বলল, আমি তোমাকে সাহায্য করব। আমি ওপরে আরোহণ করলাম। যখন পাহাড়ের চূড়ায় ‎‎পৌঁছলাম, বিভিন্ন বিকট শব্দের সম্মুখীন হলাম। আমি বললাম, এ আওয়াজ কিসের? তারা ‎বলল, এগুলো জাহান্নামের আওয়াজ। অতঃপর সে আমাকে নিয়ে রওনা করল, আমি এমন লোকদের সম্মুখীন হলাম, যাদেরকে হাঁটুতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, তাদের চোয়াল ‎‎ক্ষতবিক্ষত, অবিরত রক্ত ঝরছে। রাসূল (সা.) বললেন, আমি বললাম, এরা কারা? সে বলল, এরা ‎হচ্ছে সেসব লোক, যারা রোজা পূর্ণ হওয়ার আগে ভেঙ্গে ফেলত।’ [আল মুজামুল কাবীর লিত তাবরানী, হাদিস: ৭৬৬৭]

সুতরাং গুরুত্বসহকারে রমজানের রোজাগুলো রাখা উচিৎ। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে জাহান্নামের আযাব থেকে হেফাজত করুন।

আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।

و الله تعالى أعلم بالصواب

وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم

উত্তর দিচ্ছেন:

.

 

 

১. মুসলিম হওয়ার ব্যাপারে সংশয়

ইমাম জাহাবি (রহ.) মুমিনদের কাছে এ কথা প্রমাণিত, যে ব্যক্তি কোন অসুস্থতা ও শরিয়ত অনুমোদিত কোন কারণ ছাড়া রোজা ছেড়ে দেয় সে মদ্যপ ও ব্যভিচারকারীর চেয়েও নিকৃষ্ট;

 
বরং তারা তার ইসলামের ব্যাপারে সন্দেহ করে এবং তাকে জিন্দিক তথা ধর্মদ্রোহী বলে সন্দেহ করে। (আল-কাবায়ির, পৃষ্ঠা ৬৪)।

২. কুফরিসদৃশ কাজ

শরিয়ত অনুমোদিত কোন কারণ ছাড়াই যারা রমজানের রোজা ত্যাগ করে তারা কুফরিসদৃশ কাজ করে থাকে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ইসলামের হাতল ও দ্বিনের মূল বিষয় হল তিনটি। 

 
যার ওপর ইসলামের ভিত্তি। যে ব্যক্তি তার একটি ত্যাগ করল, সে এমন অবিশ্বাসীতে পরিণত হল, যার রক্তপাত বৈধ। সেগুলো হল, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই বলে সাক্ষ্য দেওয়া, ফরজ নামাজ ও রমজানের রোজা। (মাজমাউল জাওয়াইদ : ১/৪৮)।

৩. জাহান্নামে ভয়াবহ শাস্তি

আবু উমামা বাহিলি (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.) কে বলতে শুনেছি, একবার আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় দুজন মানুষ এসে আমার দুই বাহু ধরে আমাকে দুর্গম পাহাড়ে নিয়ে গেল। সেখানে নিয়ে তারা আমাকে বলল, পাহাড়ে উঠুন। 

 

 

১. মুসলিম হওয়ার ব্যাপারে সংশয়

ইমাম জাহাবি (রহ.) মুমিনদের কাছে এ কথা প্রমাণিত, যে ব্যক্তি কোন অসুস্থতা ও শরিয়ত অনুমোদিত কোন কারণ ছাড়া রোজা ছেড়ে দেয় সে মদ্যপ ও ব্যভিচারকারীর চেয়েও নিকৃষ্ট;

 
বরং তারা তার ইসলামের ব্যাপারে সন্দেহ করে এবং তাকে জিন্দিক তথা ধর্মদ্রোহী বলে সন্দেহ করে। (আল-কাবায়ির, পৃষ্ঠা ৬৪)।

 

২. কুফরিসদৃশ কাজ

শরিয়ত অনুমোদিত কোন কারণ ছাড়াই যারা রমজানের রোজা ত্যাগ করে তারা কুফরিসদৃশ কাজ করে থাকে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ইসলামের হাতল ও দ্বিনের মূল বিষয় হল তিনটি। 

 
যার ওপর ইসলামের ভিত্তি। যে ব্যক্তি তার একটি ত্যাগ করল, সে এমন অবিশ্বাসীতে পরিণত হল, যার রক্তপাত বৈধ। সেগুলো হল, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই বলে সাক্ষ্য দেওয়া, ফরজ নামাজ ও রমজানের রোজা। (মাজমাউল জাওয়াইদ : ১/৪৮)।

 

৩. জাহান্নামে ভয়াবহ শাস্তি

আবু উমামা বাহিলি (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.) কে বলতে শুনেছি, একবার আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় দুজন মানুষ এসে আমার দুই বাহু ধরে আমাকে দুর্গম পাহাড়ে নিয়ে গেল। সেখানে নিয়ে তারা আমাকে বলল, পাহাড়ে উঠুন। 
 

luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top